কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।
প্রতিবছর প্রায় সকল উপজেলায় কুরবানীর উদ্যেশ্যে গবাদি পশু হ্রৃস্টপুস্টকরণ করা হয়। আমদানি বন্ধের পরই এই পেশায় কয়েক লাখ মানুষ মনোযোগী হয়ে ওঠে সেই সাথে দিনে রাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরু চুরির ঘটনা দেখা যায়। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাতেও এরকম ঘটনা ঘটে।

সাধারণ খামারী ও এলাকাবাসীর অসংখ্য অভিযোগ থানা, প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আসে। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনেক আনসার, গ্রাম পুলিশ ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। এহেন দুঃস্কর্ম রোধে পুলিশ বাহিনীর আরো গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং সুধীজনের সচেতনতা সৃষ্টি করতে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় মত বিনিময় সভা। আলোচনার একসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সোহরাব হোসেন সম্মানিত উপজেলা নির্বাহি অফিসার, জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম সম্মানিত কাজিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জনাব ডা. মো. দিদারুল আহসান সম্মানিত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ।
গরু চুরি প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ে উপস্থিত সকলের কাছে যে পরামর্শ দিয়েছেন তা হলো
১. খামারের চারপাশে আলোর ব্যবস্থা করা
২. গরুর গলায় ঘুন্টি পড়ানো
৩. খামারে লেবার রুম(শ্রমিক থাকতে পারে) ব্যবস্থা করা
৪. খামারে সিসিটিভি ব্যবস্থা করা
৫. খামার গেট লক ( মিউজিক্যাল তালা) ব্যবহার করা
৬. বাড়ির গেট লক করা (মিউজিক্যাল তালা)
৭. কুকুর মত প্রভুভক্ত প্রাণিও রাখা যেতে পারে
৮. গ্রাম পুলিশ, পুলিশ প্রশাসন ও খামারির সমণ্বয়ে ডিফেন্স টিম তৈরি করা
০৯. অফিসার্স ইনচার্জ যোগাযোগপূর্বক ডিউটি অফিসার নাম্বার সংগ্রহ করে রাখা।
কাজিপুর ডিউটি অফিসারের নাম্বার- ০১৩২০১২৯৭২৫
১০. চরাঞ্চল এলাকায় নদীতে নৌ পুলিশ টহল জোরদার করা।
১১. খামারের বাইরে মুভমেন্ট সেন্সর লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানান বক্তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল আহসান দিপু জানান,
কাজিপুর উপজেলায় কুরবানির জন্য প্রস্ততকৃত প্রায় ১.৭ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু রক্ষার্থে বাংলাদেশ পুলিশ যে উদ্যোগ নিয়েছে এজন্য প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে কাজিপুর প্রশাসন ও থানাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচছা জানান।