‘বাংলাদেশের দেশীয় পশুতে কুরবানীঃ পশু ও চামড়া ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কুরবানির সময় দেশীয় পশু যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া বা মহিষের চামড়া ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা না হলে তা নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। নিচে কিছু করণীয় উল্লেখ করা হলো:

১. চামড়া উঠানোর সময় সতর্কতা

পশু জবাই করার পর যত দ্রুত সম্ভব চামড়া উঠানো উচিত।

ধারালো ছুরি ব্যবহার করতে হবে যাতে চামড়ায় কাটা না লাগে।

চামড়া উঠানোর সময় নিচের মাংস না কাটার চেষ্টা করতে হবে।


২. চামড়া পরিষ্কার করা

চামড়া উঠানোর পর সঙ্গে সঙ্গে রক্ত, ময়লা এবং চর্বি পরিষ্কার করতে হবে।

পানি দিয়ে ধুয়ে, মাটি বা ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলতে হবে।


৩. লবণ দিয়ে সংরক্ষণ

প্রতি বর্গফুটে ৪০০–৫০০ গ্রাম পরিমাণ মোটা লবণ ব্যবহার করতে হবে।

লবণ সমভাবে চামড়ার ভেতরের দিকে (মাংসের দিক) লাগাতে হবে।

ভাঁজযুক্ত অংশ ও ধারে ভালোভাবে লবণ লাগাতে হবে।


৪. চামড়া শুকানো ও সংরক্ষণ

রোদে না শুকিয়ে ছায়ায় বা ভালো বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

চামড়া একটির উপর আরেকটি ফেলে রাখলে তা নষ্ট হতে পারে, তাই ঝুলিয়ে রাখা ভালো।


৫. ব্যবস্থাপনা ও বিতরণ

চামড়া স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী বা ফাউন্ডেশনকে দেয়ার আগে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন।

সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে দিলে নিশ্চিত করুন যে তারা সঠিকভাবে চামড়া ব্যবহার করছে।


৬. সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ

সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।


প্রয়োজনে আপনি চামড়া সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় পশুসম্পদ অফিস বা চামড়া ব্যবসায়ীর পরামর্শ নিতে পারেন।

প্রয়োজনে এই তথ্যটি আপনি লিফলেট বা সামাজিক সচেতনতার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি একটি পোস্টার বা ফ্লায়ার আকারে এটি চান, জানাতে পারেন।

Leave a Reply