বিড়ালের ফ্লু ভাইরাস

You are currently viewing বিড়ালের ফ্লু ভাইরাস

কারণ :
হার্পিস ভাইরাস বা ক্যালিসিভাইরাস কারণে বিড়াল ফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।

ছড়ানোর মাধ‌্যম :
    ( ক )   ফ্লু রোগে আক্রান্ত বিড়ালের সাথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ‌্যমে, লালা, চোখ
                 বা নাক থেকে নির্গত স্রাব, হাঁচির ফোটা, ভাগ করা খাবারের বাটির মাধ‌্যমে
                  অন‌্য বিড়ালদের মধ‌্যে ছড়িয়ে পড়ে।

লক্ষণ :
নাক বন্ধ হওয়া এবং নাক বা চোখ দিয়ে পানি বা স্রাব পড়ে।
হাঁচি হয়।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ জ্বর আসে।
ক্ষুদামন্দা।
বিড়ালের মধ‌্যে অলসতা লক্ষ‌্য করা যায়।

রোগ নির্ণয় :

( ১ )  রোগের ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট‌্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায়। যদি রোগের
              লক্ষণগুলো তীব্র হয় সেক্ষেত্রে  পশুচিকিৎসকরা বুকের এক্স-রে , রক্ত পরীক্ষা করে
              এ রোগ নির্ণয় করে থাকে।


চিকিৎসা :
ক্যাট ফ্লু রোগের চিকিৎসা সাধারণত বাড়িতে করা হয় । বর্তমানে, ক্যাট ফ্লু চিকিৎসার জন্য কোনও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই, তবে লক্ষণগুলি দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ( অ্যান্টিবায়োটিক ) ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। নিরাময় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য পশুচিকিত্সকরা অনেক সময় চোখের ড্রপ বা ব্যথার ওষুধও লিখে দিয়ে থাকে।


প্রতিরোধ :
সাধারণত বিড়ালের ক‌্যাট ফ্লু রোগ শীতকালে বেশি হয়। তাই এ সময় বিড়ালকে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করানো যাবে না। এ রোগে আক্রান্ত হলে বিড়ালের অনেক যত্ন নিতে হবে এবং বিড়ালকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামে রাখতে হবে। বিড়ালকে উষ্ণ, আর্দ্র বাতাসে রাখা (যেমন হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে ), নাক থেকে পানি বের হওয়ার জন্য আলতো করে মুখ ধোয়া; এবং বিড়ালকে তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ানো (কারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রায়শই বিড়ালের ঘ্রাণশক্তি এবং ক্ষুধা হ্রাস করে)। ক‌্যাট ফ্লু ভাইরাস অসুস্থ বিড়ালের লালা ও হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়, তাই আক্রান্ত বিড়ালের খাবারের বাটি আলাদা করে দিতে হবে। যাতে এ রোগ অন‌্য বিড়াল আক্রান্ত না হয়।

এম. আর. নবী

PSG e Bazar offers you lots of best products and services. Thank you for your trusted shopping. ... ... ... CEO Pranisheba Group

Leave a Reply