ঢাকা, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োজিত ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫ ইং মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানটিতে ৩৮ টির মত ইনোভেশন পোস্টার উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব ফরিদা আকতার ও সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন (রুটিন দায়িত্ব)।

উদ্বোধনের পরপরই সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ও গবেষক বৃন্দ প্রত্যেকটি পোস্টার ঘুরে ঘুরে উদ্ভাবনী কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন। প্রত্যেকটি ইনোভেশনই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে এই মর্মে বলেছেন যে কর্মকর্তাগণ আরও বিনামূল্যে সেবা প্রদান করার জন্য এরকম উদ্ভাবন চলমান রাখবেন।
নারীরা সবচেয়ে বড় উদ্ভাবক সবচেয়ে বড় ইনোভেটিভ কারণ রাতে খাবারের পর বেঁচে যাওয়া ভাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়ার খাদ্যটিকে পান্তা বলা হয় এটি কিন্তু নারীদের অবদান আর আবহমান বাংলার সংগীত বলেন মাননীয় উপদেষ্টা ফরিদা আকতার।
তিনি আরো বলেন, নারীদের অংশীজন করে সরকারি সেবা বিনামূল্যে দ্রুত জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে তদ্রূপ দেশের মানুষ বাড়ছে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। বাড়ছে বেকারত্ব মানুষ ঝুঁকছে কৃষির দিকে । কৃষি মানেই উন্নয়ন। গবেষণা করে সেই উন্নয়নকে লাগসই ও টেকসই করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ছড়িয়ে দেওয়ার কাজই করে থাকেন সারাদেশে চাকুরীরত ইনোভেটিভ অফিসারবৃন্দ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সকল সরকারী কর্মকর্তা ভালো পোস্ট এ বসে শুধু নিজের কথা ভাবেন কিন্তু দূরবর্তী কষ্টের স্থানে পোস্টিং হলে তাঁরাই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারেন বেশি।
একটি দেশের উন্নয়নে মধ্যম ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের দিকে তাকালেই হবে না, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ ও নারীদের। আর কৃষি মানে শুধু ধান ফসল নয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উৎপাদিত পণ্য দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। ৩৮টি ইনোভেশন প্রকল্পের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ইনোভেশন দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করে মৎস্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন।
উপস্থিত সকল ইনোভেটিভ অফিসার বৃন্দ সকল ইনোভেশনেরই সমান গুরুত্ব আরোপ, প্রকল্প এবং সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এরকম গবেষণামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

প্রথম স্থান দখল করা ইনোভেশন টি হল নারীদেরকে ইংগেজ করে দেশি মুরগি পালনের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা প্রদান আমিষের চাহিদা পূরণ এবং দেশি মুরগি জাত সংরক্ষণ বিষয়টি প্রাধান্য পায়।


দ্বিতীয় তৃতীয় ইনোভেশন মৎস্য অধিদপ্তরের মাছ চাষে আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করে অল্প বিনিয়োগে কিভাবে আরো বেশি মাছ চাষ করা যায় সে বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
অনুষ্ঠানের আজজ্ঞান বলেন এরকম আরো ভালো ভালো কাজ আগামী বছর আমরা আরো সুন্দর পরিবেশে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারব এবং সবাই মাঠে গিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারব বলে আশা করি।