
তড়কা (Anthrax) রোগের কিছু লক্ষণসমূহ :
রোগটি ২টি রূপে পাওয়া যায় ।

অতি তীব্র ও তীব্র প্রকৃতির লক্ষণ । ২ ধরনের লক্ষণ নিম্নে দেওয়া হলো:
১। অতি তীব্র প্রকৃতি (Peracute stage) :
• কোনো উপসর্গ প্রকাশের পুর্বেই পশু মারা যায় ।
• মাঝে মাঝে ১-২ ঘন্টা স্থায়ী হয় ।
• জ্বর ( ১০৩°-১০৭°ফা: ), পেশীর কম্পন, শ্বাসকষ্ট, মিউকোসায় রক্ত সঞ্চায়ন ।
• খিচুনিজনিত মৃত্যু ।
• মৃতপশুর স্বাভাবিক ছিদ্র ( মুখ, নাসারন্ধ্র, মলদ্বার ) দিয়ে কালচে রক্ত বের হয় ।
২। তীব্র প্রকৃতি ( Acute stage ) :
• তীব্র প্রকৃতির লক্ষণে পশু ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত জীবীত থাকে ।
• জ্বর ( ১০৪°-১০৭°ফা: ), ক্ষুদামন্দা, নিস্তেজতা ।
• অগভীর ও দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃৎপিন্ডের গতি বৃদ্ধি ।
• দাঁত কট্ কট্ করে ।
• শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায় ।
• পেট ফাঁপা, কাপুনি ও চোখের রক্তাভ পর্দা ।
• আক্রান্ত প্রাণি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে এবং প্রাণিকে কিছুটা উত্তেজিত দেখায় ।
• রক্তমিশ্রীত পাতলা মলত্যাগ ।
• গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাতের সাথে সাথে নাক, মুখ, প্রস্রাব ও মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় ।
• দুদ্ধবতী গাভী দুধ কমিয়ে দেয়, দুধ হলুদ ও রক্তমিশ্রীত দেখা যায় । ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি দেখা
যায় ।
• আক্রান্ত পশু ১ দিনের অধিক জীবিত থাকলে জিহ্বা, গলা, বুক, নাভি, যোনিদ্বারে এডিমার
কারণে স্ফীত দেখায় ।
• গরুতে ত্বকীয় অ্যানথ্রাক্স হবারও তথ্য রয়েছে ।
• প্রাণি নিস্তেজ হয়ে শুয়ে পড়ে ।
• খিঁচুনী দিয়ে অবশেষে প্রাণি মারা যায় ।
অতি তীব্র ও তীব্র উভয় ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রাণির মৃত্যুর পর নাক, মুখ, মলদ্বার ও প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে আলকাতরার ন্যায় জমাট বিহীন রক্ত বের হতে দেখা যায় ।


রোগ নির্ণয় :
১। হঠাৎ গবাদি প্রাণি অসুস্থ ও দ্রুত মারা যাওয়ার ইতিহাস ।
২। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ যেমন- খুব তাপমাত্রা, স্বাভাবিক ছিদ্র পথ দিয়ে জমাট বিহীন
মরা রক্ত বের হওয়া ।
৩। মারা যাওয়ার পর পেট ফেঁটে যাওয়া ।
৪। Postmortem এ Spleenomegaly পাওয়া যাবে ।
পরীক্ষা নিরীক্ষাঃ
রক্ত স্লাইড করে PMB stain করে রড সেইপ জীবাণু দেখা গেলে পজিটিভ।

চিকিৎসা : পশুচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে।